বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বেশ কয়েকটা সিস্টেম বা নিয়ম বদলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এবং শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক ভবনে আলোচনায় বসেন কলেজ অধ্যক্ষ। এসময় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী রাশেদুল ইসলাম আকাশ জানান, ‘মূলত তিন দাবীতে শিক্ষার্থীরা রোববার আন্দোলনে নামে। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক নেতা ও আমাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেই সময় আমরা দাবী করি যে, শিওর ক্যাশের মাধ্যমে ফরম ফিলাপ সহ নানা ফি’র টাকা জমা দিতে ৩০টাকা বাধ্যতা মূলক দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে কলেজের সামনের দোকানীরা আমাদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ১৫০টা অতিরিক্ত রেখে থাকে। সেক্ষেত্রে আমাদের দাবী হচ্ছে ৩০টাকার বেশী অতিরিক্ত একটাকাও দেবনা। আর কলেজের বাইরে গিয়ে টাকাও জমা দেব না।
এই প্রসঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছে শিওর ক্যাশ যদি কলেজের প্রস্তাবে রাজি না হয় তাহলে শিওর ক্যাশ বাদ দিয়ে অন্য কোম্পানীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হবে কলেজ। অপরদিকে বছরে দুই বার সেশন চার্জ সহ ফরম ফিলাপে ৪৫শ টাকা করে রাখা হয়। যেটা একবারে নেয়ার জন্য দাবী জানানো হয়েছে এবং অতিরিক্ত যে ফি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া সেগুলো বাতিল অথবা অন্য কলেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এই সভায়।’
এই বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শিওর ক্যাশের কার্যক্রম কলেজ থেকে বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। আমরা তাদের সাথে কথা বলবো, যদি আমাদের শর্ত তারা না মানে তাহলে অন্য কোম্পানীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। উল্লেখ্য, শিওর ক্যামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা টাকা জমা দেওয়ার পর থেকেই বিএম কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে।