Home জাতীয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরছেন আরো ২৯ হাজার বাংলাদেশি

মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরছেন আরো ২৯ হাজার বাংলাদেশি

মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরছেন আরো ২৯ হাজার বাংলাদেশি

নতুন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া, কর্মহীন এবং দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধভাবে থাকা আরো ২৮ হাজার ৮৪৯ বাংলাদেশি শিগগিরই দেশে ফিরছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা ঢাকা এসে পৌঁছাবেন। গতকাল বুধবার পঞ্চম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভিডিও ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। বিভিন্ন দেশে আটকাপড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা এবং বিশাল সংখ্যক প্রবাসীর প্রায় একই সময়ে ফেরার পর তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ পরবর্তী করণীয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এরই মধ্যে অনেক বাংলাদেশি দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে ওমান, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে একাধিক ফ্লাইট এসেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েত সরকার অনিবন্ধিত শ্রমিকদের সাধারণ ক্ষমা করেছেন। সেখানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বাংলাদেশি অনিবন্ধিত রয়েছেন। আমরা তাদের ফেরত আনবো। সৌদি আরব থেকে ৪ হাজার বাংলাদেশি ফিরবেন। ইরাকে অনেক লোকের চাকরি চলে গেছে। আমরা সেটা দেখছি। ওমান থেকেও কিছু বাংলাদেশি ফিরবেন। এছাড়া মালদ্বীপে প্রবাসীদের জন্য আমরা খাবার পাঠিয়েছি। সেখান থেকে ৪০০ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন।

মন্ত্রী বলেন, কারামুক্ত বাংলাদেশি ছাড়াও ওমরাহ, ভ্রমণ বা অন্য কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গিয়ে আটকাপড়া আরো কয়েক শ বাংলাদেশি ফিরেছেন। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আটকাপড়া কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ উন্নত দেশগুলো থেকেও বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বাধ্য না হলে বাংলাদেশিদের দেশে না ফিরতে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের মরদেহ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ফেরত দেবে না। তারা ইসলামি নিয়ম মেনে সেখানে দাফন করবে। তিনি বলেন, অন্য দেশ থেকে লাশ পাঠাতে গেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মতে কোয়ারেন্টাইন সিস্টেমে পাঠাবে। মরদেহ দেশে আনলেও আত্মীয়স্বজনরা কেউ চেহারা দেখতে পারবেন না। মরদেহের জন্য যে কোয়ারেন্টাইন বক্স তৈরি করবে সেখান থেকে বের করা যাবে না। তাই আমরা পরিবার ও স্বজনদের কাছে অনুরোধ করব, কেউ যদি বিদেশে মারা যান, তার জন্য দোয়া করেন। সেই দেশেই সমাহিত করার ব্যবস্থা করুন।

আর যদি দেশেও আনেন তাহলেও কফিন খুলতে দেওয়া হবে না। সভায় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here