নৌপথে বেপরোয়াভাবে আগে ওঠার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত রয়েছে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের যাত্রীবাহি লঞ্চগুলো। শনিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ১১ টার দিকে চর হিজলা এলাকা সংলগ্ন মাঝ নদীতে এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি অ্যাডভেঞ্চার ১ ও সুরভী ৮ লঞ্চের যাত্রীরা।
যদিও এ প্রতিযোগীতা অনেকের জন্য আনন্দের হলেও সাতার না জানা কিংবা নদীপথের নতুন যাত্রীদের জন্য আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।
অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চের যাত্রীরা জানান, সুরভী-৮ লঞ্চটি রাত সোয়া ৯ টার দিকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যদিও এর কিছুসময় আগে অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করে। প্রতিটি লঞ্চ তার গতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে অপরাপর লঞ্চগুলোকে ওভারটেক করে। কিন্তু রাত পৌনে ১১ টা থেকে দীর্ঘ প্রায় আধঘন্টা ধরে সুরভী-৮ লঞ্চটি অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চটিকে ওভারটেকেরে চেষ্টা করে। কিন্তু উভয় লঞ্চ সমান গতির হওয়ায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ ছিলো।
একপর্যায়ে সুরভী-৮ লঞ্চ অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চের খুব কাছাকাছি আসতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে সুরভী লঞ্চ অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের নীচতলার ডেকের বামপাশের বাহিরের বাড়তি অংশের ওপর উঠে যায়। দুটি লঞ্চ একটির সাথে অন্যটি আটকে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে, উভয় লঞ্চের যাত্রীরা আটকে যাওয়া পাশের বারান্দায় চলে যায়।
অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের যাত্রী সুমন জানান, এসময় অল্প বয়স্ক যাত্রীরা উচ্ছসিত হলেও কিছু যাত্রীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। একই লঞ্চের যাত্রী অয়ন জানান, লঞ্চ দুটি একে অপরের যতো কাছে আসছিলো ততই যুবক বয়সের ছেলেরা চিৎকার দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করছিলো। পরে যখন উভয় লঞ্চ একটির সাথে আর একটি আটকে একত্রে চলা শুরু করে তখন হাত দিয়ে অপর লঞ্চের যাত্রীদের ধরা যাচ্ছিলো।
নদী শান্ত থাকায় হয়তো কোন বিপদ হয়নি, তবে এ ধরনের প্রতিযোগীতা যে কোন সময়ে দুর্ঘটনা বয়ে আনতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান যাত্রীদের।