কোরবানির ঈদের পর বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভর্তির সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে। সর্বোশেষ রোববার (১৮ আগষ্ট) সকালের হিসেব অনুযায়ী,এ হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টয় নতুন করে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৩জন রোগী। যা কোরবানির ঈদের পরের হিসেব অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ কম সংখ্যক রোগী ভর্তি হওয়ার রেকর্ড এ হাসপাতালের।
এরআগের দিনে শনিবার (১৭ আগষ্ট) সকালের সর্বোশেষ হিসেব অনুযায়ী, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ২৪ ঘন্টায় ৬১ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছিলো এবং শুক্রবার সকালের হিসেব অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় ৫০ জন ও বৃহষ্পতিবার সকালের হিসেব অনুযায়ী ৬৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়। তবে এরআগ থেকে গড়ে ৮০ জন করে রোগী ভর্তি হয়েছে প্রতি ২৪ ঘন্টায়।
এদিকে রোববার (১৮ আগষ্ট) সকালের হিসেব অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১৭জন। যাও এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ভালো হয়ে হাসপাতাল থেকে বিদায় নেয়া রোগীর সংখ্যা। শনিবার (১৭ আগষ্ট) সকালের সর্বোশেষ হিসেব অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল থেকে বিদায় নিয়েছেন ৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী। আর শুক্রবার সকালের হিসেব অনুযায়ী শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ২৪ ঘন্টায় ৯১ জন এবং বৃহষ্পতিবার সকালের হিসেব অনুযায়ী ১১৪ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে বিদায় নিয়েছেন। আর গড় হিসেবে ঈদের আগের দিন থেকে ডেঙ্গু রোগীর হাসপাতাল ত্যাগের সংখ্যা বেড়েছে।
ঈদের আগের দিন ১১ আগষ্ট সকালের হিসেব অনুযায়ী সর্বোশেষ ২৪ ঘন্টায় ১০৬ জন রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। এদিকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে পুরুষ ১০৩জন, মহিলা ৪০ এবং ৪৩ জন শিশু। গত ১৬ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২১৫ জন। এই সময়ে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ১ হাজার ২৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
এছাড়াও বরিশাল জেলার গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নারী ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার পরিছন্নতা সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপে খুশী রোগীরা। তারা এই কার্যক্রম আরো যোরদার করার দাবি জানিয়েছে। এদিকে হাসপাতালে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ড্রেনগুলো পরিষ্কার পরিছন্ন করা নিয়োমিত মশক নিধন এবং ওয়ার্ডগুলো নিয়োমিত পরিষ্কার করার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন।