বরিশালে লঞ্চ-বাসে শারীরিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। টার্মিনাল থেকে বাসে শারীরিক দূরত্ব মেনে প্রতি দুই সিটে একজন যাত্রী নেয়া হলেও মাঝ পথে বিভিন্ন স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। অথচ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে নতুন বর্ধিত হারে। এছাড়া জীবানুনাশক স্প্রে সহ হ্যান্ড স্যানিটাইজারেরও বালাই নেই বাসে। লঞ্চেও মানা হচ্ছেনা শারীরিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্য বিধি। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নেই লঞ্চে।
এদিকে লঞ্চ বাসে শারীরিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় রবিবার (০৭ জুন) বরিশালে পৃথক ৫টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর দুটি বাস টার্মিনাল এবং নদী বন্দর সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। তারা পরিবহন শ্রমিক এবং যাত্রীদের সচেতন করছেন। অনেকের বিরুদ্ধে নিচ্ছেন আইনী ব্যবস্থা।
গত পহেলা জুন যাত্রীবাহি বাস চলাচল শুরুর প্রথম দিকে শারীরিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় কিছুটা সতর্ক ছিলো পরিবহন কোম্পানীগুলো। তারা বাসের বাইরে এবং ভেতরের সিটে জীবানুনাশক স্প্রে সহ শারীরিক দূরত্ব রক্ষায় প্রতি ২ সিটে একজন করে যাত্রী পরিবহন করে। তবে দিন দিন শিথিল হয়ে যাচ্ছে সব কিছু। বাসগুলো টার্মিনাল থেকে শারীরিক দূরত্ব রক্ষায় প্রতি দুই সিটে একজন যাত্রী নিলেও মাঝপথে বিভিন্ন স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হচ্ছে। এতে শারীরিক দূরত্ব রক্ষা হচ্ছে না। অথচ যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে নতুন বর্ধিত ভাড়া। এছাড়া জীবানুনাশক কার্যক্রমও নেই বললেই চলে।
এদিকে বরিশালের স্থানীয় এবং দূরপাল্লার লঞ্চেও শারীরিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। অনেক যাত্রীর ফেস মাস্কও নেই। তবে লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নেই।
লঞ্চ-বাসে স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে গতকাল রবিবার অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনের ৫টি পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত। সেনা বাহিনী এবং র্যাবের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালত মাস্ক না পড়া সহ স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করায় ৩৫জন যাত্রী, ৩টি বাস এবং ২টি দোকান থেকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা।