বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কল-কারখানা এবং শপিংমলসমূহ খোলা রাখারা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায়, বরিশালের প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা যাচাইকল্পে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন দোকান, শপিং মূল এবং কারখানা পরিদর্শন করছে।কিন্তু গত কয়েকদিনের শপিংমল সমূহে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষন পরিলক্ষিত না হওয়ার আজ আবার পূনরায় বরিশাল জেলা প্রশাসন শপিংমল দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেন। আজ বরিশাল জেলা প্রশাসনের ২ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা কালে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি অমান্য করার ৬ টি প্রতিষ্ঠান এবং ১৪ জন ক্রেতাকে ৫০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। তারি ধারাবাহিকতায় আজ ২২ মে শুক্রবার সকালে বরিশাল নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, কাঠপট্টি, ফলপট্টি, গীর্জা মহল্লা, সদর রোড, নতুন বাজার, চৌমাথা বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও দ্রব্যমূল্যের বাজার দর মনিটরিং এর পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রাব্বী। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি প্রতিপালন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা কালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে টহল অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সচেতনামূলক মাইকিং করা হয়। বরিশাল নগরীর কাঠপট্টি, চকবাজার ও গির্জামহল্লা এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। অভিযানকালে স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কেনাকাটায় আসার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করায় ১৪ জন ক্রেতাকে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২৫(২) ধারায় ৫০০ টাকা করে মোট ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয় হয়। একাধিকবার সতর্ক করা স্বত্তেও স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং গির্জামহল্লা এলাকায় শাটার বন্ধ অবস্থায় ভেতরে ২৫-৩০ জন ক্রেতা সমাগম করায় বৈশাখি নামক একটি কাপড়ের দোকানে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি, দোকানটি সিলগালা করা হয়। মোবাইল কোর্টে দায়িত্বরত র্যাব-৮ এর একটি টিমের সহযোগিতায় বিভিন্ন দোকান ও গলির মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে, তা ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তিতে আইনানুগ শাস্তির বিষয়ে সতর্ক করে সবাইকে বাসায় চলে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়। অপর দিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ অাতাউর রাব্বী অভিযান পরিচালনা কালে গির্জামহল্লা, চকবাজার, পুলিশ লাইন ও ফলপট্টি এলাকায় ৫টি দোকানকে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা অনুযায়ী ৫টি প্রতিষ্ঠান কে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। এসময় আইনশৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা করে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের একটি টিম। ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান কর্তব্যরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।