টেকনাফে মঙ্গলবার ১৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, ঢাকায় ৭ মিলিমিটার। এ ছাড়া দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই এদিন বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বুধবারও (৩ জুলাই) দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে (২ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার) বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানিয়েছে অধিদফতর।
বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এরাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় ও দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতির সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে এর পরবর্তী (দুই দিন পর) পাঁচ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি বাড়তে পারে।
ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া হিসেবেও বইতে পারে।
ঢাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। বুধবার ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এবং সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে।