করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে সবার আগেই ব্যাট নিলামে কোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই ব্যাটটাই নিলামে তুলছেন তিনি।
এরই মধ্যে সাকিব আল হাসানের বিশ্বকাপের ব্যাটের এবং সৌম্যর সেঞ্চুরির ব্যাট ও তাসকিনের হ্যাটট্রিকের বলের নিলাম করে দিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান অকশন ফর অ্যাকশন। কিন্তু মুশফিকের ব্যাট অকশন ফর অ্যাকশনের মাধ্যমে নয়, মুশফিকুর রহীমের ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামে উঠবে ই-কমার্স সাইট ‘পিকাবু’র মাধ্যমে।
পিকাবু না অকশন ফর অ্যাকশন- এ নিয়ে মাঝে একটু অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও আজ বুধবার রাতে সব অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। মুশফিকের খুব ঘনিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে পিকাবুর সাথে কথা বার্তা ও চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
আগামী ৯ মে শনিবার মুশফিকের ৩৩তম জন্মদিন। পিকাবুর সঙ্গে আলাপে কাকতালীয়ভাবে ওইদিনটিকেই বেছে নেয়া হলো ব্যাট নিলামে তোলার তারিখ হিসেবে। ৯ মে রাত ১০টায় পিকাবুতে শুরু হবে মুশফিকের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা টেস্ট ডাবল হান্ডেডের ব্যাটটির।
তবে মুশফিকের ব্যাটের নিলাম হবে একটু ভিন্নভাবে। সেটা হচ্ছে, এর আগে সাকিব, সৌম্য,তাসকিনদের ব্যাট এবং বলের যে নিলামগুলো হয়েছে, মুশফিকের ব্যাটের নিলাম সেগুলোর মতো হবে না। সাকিব-সৌম্যর ব্যাট এবং তাসকিনের বল যেমন এক রাতে নিলামে তুলে সে রাতেই বিক্রি শেষ হয়ে গেছে, মুশফিকের ব্যাটের নিলামের ধরন থাকবে ভিন্ন। দেশে ও দেশের বাইরে পাঁচদিন ধরে চলবে ওই নিলাম।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সূত্র জানায়, ‘পিকাবুর স্মরণাপন্ন হবার কারণেই নিলামের ধরন এমন দীর্ঘ। দেশে ও বিদেশে মুশফিকের ব্যাটের নিলাম নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আর পিকাবুর নিলামের ধরনটাই এমন। ৯ মে রাত ১০টায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হবে নিলাম। চলবে পরের আরও ৪ দিন।
নিলামের মূল উদ্যোক্তা হলো পিকাবু। সাথে ব্র্যাকও থাকবে। নিলামকে যতটা সম্ভব বৃহৎ পরিসর ও আকার দিতেই এমন উদ্যোগ।